এ যেন গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের আরেকটি মঞ্চ। তবে এবার আর সুপার ওভারে লড়াই করতে পারলো না নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে ৯ রানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। এরই সঙ্গে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজও নিশ্চিত করলো ইয়ন মরগানের দল।
গত জুলাইয়ে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে কিউইদের ফাইনালে কাঁদিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে শিরোপা ঘরে তোলে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে দু’দলের স্কোর সমান হওয়ার পর সুপার ওভারেও টাই হয়। তবে বাউন্ডারির হিসেবে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে ইংলিশরা।
বিশ্বকাপের পর প্রথমবার ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আতিথেয়তা জানায় নিউজিল্যান্ড। যেখানে প্রথম চার ম্যাচে ২-২ ব্যবধানে সমতা থাকে। ফলে রোববার শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নেয়। তবে অকল্যান্ডে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা কিউইদের ইনিংসের শুরুতেই বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পরে আম্পায়াররা ম্যাচটি ১১ ওভারে নামিয়ে আনেন।
এই ১১ ওভারে ঝড়ো ব্যাট করা স্বাগতিকরা ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তোলে। ২০ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫০ করেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। ২১ বলে ৪৬ রান আসে আরেক ওপেনার কলিন মুনরোর ব্যাট থেকে। আর শেষ দিকে ১৬ বলে ৩৯ করে ইনিংস বড় করেন টিম সেইফার্ট।
১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ম্যাচে টাই করতে সমর্থ হয় ইংল্যান্ড। শেষ দিকে ক্রিস জর্ডানের একটি চার ও সমান ছক্কায় ১২ রানের সুবাদে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থামে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ বলে ৪৭ করে জনি বেয়ারস্টো।
পরে সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো স্কোর পাইয়ে দেন বেয়ারস্টো ও অধিনায়ক মরগান। টিম সাউদির ওভারে তারা যথাক্রমে ১, ৬, ১, ৬, ১, ২ রান তুলে মোট ১৭ রান করেন। ১৮ রানে জবাবে ব্যাট করতে নেমে জর্ডানের বলে সেইফার্ট, গাপটিল ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম মাত্র ৮ রান তুললে হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়। জর্ডানের ওভারটি ছিল ঠিক এমন ২, ওয়াইড, ৪, ০, আউট, ১ ও ০।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন জনি বেয়ারস্টো। তবে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার।