গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে, নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে তিস্তার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে ওইসব এলাকার মানুষ বিপাকে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কেল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. সুজন ইসলাম বলেন, ‘তিন দিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তিস্তার পানি বেড়ে গেছে। নদীর পানি আমাদের ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। পানিতে চুলা ডুবে যাওয়ায় রান্না করা যাচ্ছে না। শুকনো খাবার খেয়ে কোনো রকমে দিন পার করছি আমরা।’
একই উপজেলা বড়খাতা ইউনিয়নের পাগলপাড়া এলাকার কৃষক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘কিছু দিন হলো খেতে ধানের চারা লাগিয়েছি। চারা খেত পানিতে ডুবে আছে। এভাবে বেশিদিন পানিতে তলিয়ে থাকলে খেতের চারা পচে যাবে।’
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা জানান, পাঁচটি ইউনিয়নের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যেসব এলাকা পানিতে তিলিয়ে গেছে সেখানকার বাসিন্দাদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের ত্রাণ দেওয়া হবে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান জানান, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্লাবিত এলাকায় কাজ করছেন। ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। মানুষ ও গবাদি পশু উদ্ধারে নৌকা ও আশ্রায়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।