সালটা ২০১৩, সাভারের রানা প্লাজা ধসে অনেক গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়। ভবন ধসের ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা নামের এক মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
সেই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তখন পরিচালক নজরুল ইসলাম খান শুরু করেন ‘রানা প্লাজা’ নামের একটি সিনেমা।
তখন এ সিনেমা ঘিরে দর্শকের প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়। কিন্তু জট বাঁধে সেন্সর বোর্ডে। টানা তিন বছর সেন্সর বোর্ড, আদালত সবখান থেকে ‘রানা প্লাজা’ মুক্তিতে বাধা আসে। তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিনেমা মুক্তি আটকে যাওয়ায় পরিচালক চরম বিপাকে পড়েন।
বর্তমানে দেশে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর আবার আশায় বুক বেঁধেছেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি আশা করছেন, সিনেমাটি এবার সেন্সর ছাড়পত্র পাবে। দর্শক দেখতে পাবে তার ‘রানা প্লাজা’। আগামী সপ্তাহে সব কাগজপত্র ঠিক করে ফের সেন্সরে জমা দেবেন সিনেমাটি।
নজরুল বলেন, বহু চেষ্টা করেও গেল ১০ বছর আমার সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পায়নি। বোর্ডের সদস্যরা আমার সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখেছেন, চোখের পানি ফেলেছেন, বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছেন, ‘দারুণ সিনেমা’। অথচ পরের দিন জানলাম, ছাড়পত্র দিতে ওপর থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে গিয়েও লাভ হয়নি। কে ছিল এর বিরুদ্ধে সেটাও বলা হয়নি আমাকে। দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার জন্য। মন্ত্রীদের কাছেও গিয়েছিলাম। কেউ আমার পাশে দাঁড়াননি। এখন সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ কথা বলতে পারছে, নিজের মত প্রকাশ করতে পারছে। আশা করছি, আমিও সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার স্বাধীনতা পাব।
‘রানা প্লাজা’র মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সিনেমাটিতে নাম লিখিয়েই প্রথম আলোচনায় আসেন এই নায়িকা। সিনেমাতে তার বিপরীতে দেখা যাবে চিত্রনায়ক সাইমন সাদিককে।