নড়াইলে এক দফা দাবিতে সরকারি হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি রোগীরা দুর্ভোগে পড়েছে। সেবা বঞ্চিত হয়ে অনেকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেকে হাসপাতাল ছেড়ে ক্লিনিকে ছুটছে। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা দিলেও হাসপাতালের বিছানায় বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছে রোগীরা। অবশ্য কর্মবিরতি থাকা নার্সরা দাবি করছেন, জরুরি সেবার জন্য ১০ জন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে আধুনিক সদর হাসপাতালে গেলে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা গ্রামের সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। জরুরি বিভাগ থেকে ডাক্তার দেখানোর পর বেডে দিয়েছে। নার্সরা কর্মবিরতি পালন করায় চিকিৎসা শুরু হয়নি। আমি মনে করি, দ্রুত তাদের কাজে ফিরিয়ে আনা দরকার।’
মাগুরা জেলার নহাটা গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ‘আমি হাত ভেঙ যাওয়ায় নড়াইল সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছি। নার্সরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করায় ইনজেকশন বা অন্যান্য চিকিৎসা পাচ্ছি না। যার কারণে কষ্ট বেশি হচ্ছে।’
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদ থেকে সকল ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণ করে সেখানে নার্সিং কর্মকর্তাদের পদায়নের ১ দফা দাবিতে বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছে তারা।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ নড়াইল জেলা শাখার আয়োজনে নড়াইল সদর হাসপাতাল চত্বরে কর্মবিরতি পালনকালে বক্তব্য রাখেন সংস্কার পরিষদ নড়াইল জেলা শাখার আহ্বায়ক শাহিনুর খাতুন, সংস্কার কমিটির সদস্য পলি কুন্ডু, মুজিদা খানম ও সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি পারভীনসহ প্রমুখ।
গত ১ অক্টোবর থেকে তারা ৩ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন শুরু। কয়েক দিন আন্দোলন স্থাগিত থাকার পর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) থেকে পুনরায় কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া না হলে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে বক্তারা জানান