আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার বৃহৎ পশুর হাট বদরগঞ্জসহ জেলার ৮টি পশুর হাট ক্রমেই জমে উঠছে। জেলার প্রতিটি পশু হাটে কৃষক ও খামারীরা দেশি, বিদেশি সাইলো, ফিজিয়ানসহ নানা জাতের গরু হাটে তুলছেন। তবে, কৃষকদের ভাষ্য গতবারের মতো এবছর গরুর মূল্য কম।
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা বলছেন, হাটে এখনও সব জেলার ব্যাপারী ও সাধারণ ক্রেতা আসা শুরু হয়নি। এসব ক্রেতা ও ব্যাপারী আসলে পশুর হাট আরও জমে উঠবে এবং কৃষকও গরুর সঠিক মূল্য পাবে।
ডুগডুগি হাটের মালিক মিন্টু জানান, কুরবানির হাট জমতে শুরু করেছে। বাইরের ব্যাপারীও আসতে শুরু করেছে। বাইরের ব্যাপারী ও সাধারণ ক্রেতা আসবে ঈদের দুই সপ্তাহ আগে; তখন বাজার আরও জমবে এবং গরুর বেচা-কেনাও বাড়বে।
তিনি আরও জানান, হাটে যাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরপদে বেচা-কেনা করতে পারে; সে জন্য পুলিশি নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আসন্ন কুরবানি উপলক্ষে এ জেলার প্রান্তিক ও ছোট বড় খামারিরা গরু ও ছাগল মিলে প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার পশু বিক্রির আশায় হাটে নিতে শুরু করেছে। এর মধ্যে গরু ৫২ হাজার ৬৫৩টি এবং ছাগল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০৭টি। এ ছাড়া এ জেলার খামারীরা এলাকার চাহিদার পাশাপাশি ট্রাকযোগে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাটে এসব পশু বিক্রির জন্য তুলবে।
বর্তমানে এ জেলার ডুগডুগি, শেয়ালমারী, গোকুলখালী, বদরগঞ্জ, আলমডাঙ্গা, জামজামি, হাটবোয়ালিয়াসহ মোট ৮টি পশু হাট থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ হাজার পশু বেচা-কেনা হচ্ছে।